

মোঃ মনোয়ার হোসেন সেলিম নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:
সারাদেশের ন্যায় প্রাথমিক শিক্ষকরা ৩ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সারাদিন ব্যাপী ডিমলা উপজেলায় কর্মবিরতি পালন করেছে। শিক্ষকদের দাবি ১১ তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, ১০ বছর এবং ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন এবং প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতি। শিক্ষকরা গত ৫ মে থেকে তাদের দাবি আদায়ের জন্য ১ ঘন্টার কর্ম বিরতি দিয়ে এ আন্দোলন শুরু করে, এরপর ১৬ মে থেকে ২ ঘন্টার কর্মবিরতি শুরু করে, ২১ মে থেকে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করে এবং সর্ব শেষ ২৫ মে শুরু হয় পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি। ডিমলা উপজেলার ২১৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এই দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন থেকে এই কর্মবিরতি পালন করে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি ডিমলা উপজেলা শাখার সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক “মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান” বলেন জাতি গড়ার শ্রেষ্ঠ কারিগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তাঁরা স্নাতক ও উচ্চতর ডিগ্রিধারী, অথচ তৃতীয় শ্রেণীর একজন কর্মচারী। প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান ও লক্ষ্য অর্জন নিশ্চিত করতে সহকারী শিক্ষকদের ৩ দফা দাবি মেনে নিতে হবে। তাই শিক্ষকদের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি, ডিমলা উপজেলা শাখার সভাপতি, “মোঃ রায়হান ইবনে আবেদীন” বলেন, এই পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি শিক্ষকদের দাবি আদায় পূরণ না হওয়া পর্যন্ত চলবে। তিনি আরো বলেন দাবি আদায় করতে গিয়ে সারা বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুরা যা তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য নেতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। এতে শিশুদের যে শিখন ঘাটতি হচ্ছে সেটা পূরণ করা একটু কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে। শিক্ষক জাতি গড়ার কারিগর, শিক্ষকদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দেয়া এবং আলাদা বেতন স্কেল দেয়া যৌক্তিক। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উচিৎ পৌনে ৪ লক্ষ শিক্ষকের ৩ দফা দাবি দ্রুত মেনে নিয়ে শিক্ষকদের শ্রেণী পাঠ দানে ফেরানো।
সবশেষে তিনি আরো বলেন শিক্ষকদের ৩ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি চলমান থাকবে।