শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০২:২৪ পূর্বাহ্ন
Headline
পুলিশের চরিত্র এখনো পবিত্র হয়নি স্বৈরাচারের সঙ্গে মিটিং।
আপডেট : শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ১২:০৯ পূর্বাহ্ন

বিশেষ প্রতিবেদক:

অপরাধ যেন পিছু ছাড়ছেনা এসএমপির শাহপরান থানার ওসি মনির হোসেনের। চোরাই চিনি সিন্ডিকেটের বখরার অভিযোগ না মুছতেই নির্যাতিত এক নারী অভিযোগ করেছেন তাহার উপর। এখন সেই ক্ষত না শোকাতেই ডেবিলদের সাথে তাহার সখ্যতার ছবি ও ভিডিও এখন মিডিয়াকমীদের হাতে। একের পর এক অভিযোগ উঠায় পরিবর্তিত পরিস্থিতির পর পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়ে আবারও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে এসএমপির বুঝা হয়ে যাচ্ছন ওসি মনির।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রতিদিন অর্ধশতাধিক গাড়ী সিলেটের কালিঘাটে চোরাই পণ্য নিয়ে প্রবেশ করে। যাহার বেশীরভাগই অবৈধ চোরাই চিনি। অভিযোগ রয়েছে সুরমা গেইট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এর মাধ্যমে ওসি মনির হোসেন কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা আদায় করছেন।যার জন্য খুব সহজেই চোরাই চিনির চালান নিয়ে বিভিন্ন সাইজের গাড়ী নগরীর ব্যস্ত্যতম কালিঘাটে প্রবেশ করছে। যাহা নিয়ে প্রিন্ট মিডিয়ায় ছবি সহ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। পুলিশ টাকার কাছে আত্নসমর্পণের কারণে বন্ধ করা যাচ্ছে যাচ্ছেনা শহরে চোরাই পণ্যবাহী গাড়ী প্রবেশ। মুলত ওসি মনির ও সুরমাগেইট ফাঁড়ির আইসির লোভের খেসারত দিচ্ছে পুলিশ।

 

সেই চোরাই চিনির বখরার অভিযোগ না মুছতেই এক নির্যাতিত নারী ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন বড় অংকের টাকা পেয়ে তাহার অপরাধী স্বামীকে ওসি গ্রেফতার করছেননা।

এদিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা পান্নাকে নিয়ে ওসির বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। সরকার পরিবর্তনের পর আওয়ামীলীগের সকল পর্যায়ের নেতারা আত্মগোপনে চলে গেলেও দাপটের সাথে চলাফেরা করছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা পান্না। তিনি শাহপরান থানার ওসির সাথে মোটা অংকের টাকায় দফারফা করে রাজার হালে চলাফেরা করছেন। বিষয়টি সংবাদ কর্মীরা ফলাও করে বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়া প্রচার করলে টনক নড়ে ওসি মনির হোসেনের। তখন তিনি তার সম্মান টিকিয়ে রাখতে বাধ্য হয়ে পান্নাকে গ্রেফতার করেন।

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে এসএমপির শাহপরান থানার অফিসার ইনচার্জ মনির হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন পান্না স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা আমি জানতামনা। আমি শাহপরান থানায় যোগদান করার পর দুটি পক্ষের মধ্যে জাকারিয়া সিটি নিয়ে বিরোধ চলছিলো, বিষয়টি জানার পর আমি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় দুপক্ষের সাথে বসে বৈঠক করে কথা বলে আলোচনার মাধ্যমে কাগজপত্রে যিনি মালিক হবেন তিনিই প্রকৃত মালিক হবেন বলে তাদেরকে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা না করতে পরামর্শ দিয়েছি। এর মধ্যে ডেবিল হান্ট অপারেশন শুরু হলে পান্নাকে নিয়ে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বলে সংবাদ প্রকাশ করলে আমিই তাকে গ্রেফতার করি। সেই পান্নার সাথে বৈঠকের পুরনো ছবি নিয়ে কিছু মিডিয়া আমার বদনাম করতে চায়। যারা এসব করছে আমি মনে করি তাদের স্বার্থে আঘাত লেগেছে। শাহপরান থানার উপর দিয়ে ভারতী অবৈধ চোরাই চিনি কিভাবে কালিঘাটে প্রবেশ করছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ভালো প্রশ্ন করেছেন। আজও আমি চিনি ও ভারতীয় ফলের গাড়ী আটক করেছি। এই দুটি গাড়ী নিয়ে থানায় চলে যাওয়ার পর অন্যগাড়ী যদি চোরাই চিনি নিয়ে কালিঘাট ঢুকে তখন আমি কি করবো। আমার পুলিশের মধ্যে অনেক গাফলা আছে, আমি একা কি করবো বলেন। আমি কেমন তা আমার কমিশনার স্যার ভালো করেই জানেন। পান্নার বিষয় নিয়ে যদি আমাকে বদলী করা হয় তাহলে অসুবিধা নেই আমি প্রস্তুত।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
আমাদের পেজ ফলো করুন