মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৭:০২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
জিয়া সৈনিক দল নাসিক ৩নং ওয়ার্ড আহবায়ক কমিটি ঘোষনা জনগণের অধিকার আদায়ে দলকে শক্তিশালী করতে হবে : গিয়াসউদ্দিন জাতীয়তাবাদী জিয়া সৈনিক দল ফতুল্লা থানার পুর্ণাঙ্গ ও সোনারগাঁও থানার আহবায়ক কমিটি ঘোষনা নাসিক ৭ নং ওয়ার্ডে সাবেক সাংসদ গিয়াস উদ্দিনের পক্ষে করোনা প্রতিরোধে লিফলেট বিতরন সিদ্ধিরগঞ্জে অসুস্থ বিএনপি নেতাদের খোঁজখবর নিলেন সাদরিল সাবেক সাংসদ গিয়াস উদ্দিনের এপিএস নির্বাচিত হওয়ায় সাদরিলকে সংর্বধনা সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তার নগর ভবনে হামলার দায় উপদেষ্টা আসিফের ঘনিষ্ঠদের: ইশরাক পৃথিবীর সর্বনাশের জন্য আমরা আসামি : প্রধান উপদেষ্টা সিদ্ধিরগঞ্জে সাবেক সাংসদ গিয়াস উদ্দিনের আহবানে করোনা প্রতিরোধে লিফলেট বিতরন
Headline
বসতবাড়ি ধ্বংস করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে হবিগঞ্জে বালু ব্যবসায়ীরা !   
আপডেট : বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪, ১:১৬ পূর্বাহ্ন

 

বিকাল বার্তা প্রতিবেদক :

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে খোয়াই নদীর ভাঙন আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই পুনরায় শুরু হয়েছে বালু উত্তোলনের তাণ্ডব। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। এতে নদী তীরে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে, যা স্থানীয়দের মাঝে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

 

সরেজমিনে দেখা গেছে, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব লেঞ্জাপাড়া এবং সদর উপজেলার লস্করপুর এলাকার বেশ কিছু পয়েন্টে ড্রেজার মেশিন দিয়ে দিনরাত বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এর ফলে নদীর তীরে ভাঙন শুরু হওয়ায় স্থানীয়দের বাড়িঘর এবং ফসলের জমি হুমকির মুখে পড়েছে।

 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত আগস্টে ভারত থেকে আসা ঢলের কারণে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল, তখন স্বেচ্ছাশ্রমে বালুভর্তি বস্তা ফেলে তারা কোনোভাবে ভাঙন রোধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু এখন আবার বালু উত্তোলন শুরু হওয়ায় তাদের সেই আতঙ্ক পুনরায় ফিরে এসেছে।

 

অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইজারাদার ফারুক মিয়া, যার অধীনে আক্কাস মিয়া এবং শাহ আলম নামের দুই ব্যক্তি ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বালু উত্তোলন বন্ধ করা হয়নি। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হলেও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।

 

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা আক্তার মিতা জানান, ঘটনাটি জানার পর তিনি দল পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি। ইজারাদারকে নিয়ম মেনে বালু উত্তোলনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

 

নদীর তীরবর্তী এই এলাকাগুলোতে বালু উত্তোলনের কারণে পরিবেশগত ঝুঁকি এবং মানুষের জীবিকা হুমকির মুখে পড়ায় স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে এই অবৈধ উত্তোলন বন্ধ করা হোক।

এই বিভাগের আরো খবর
আমাদের পেজ ফলো করুন