

শেখ সাইদুল আলম সাজু, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরে একদিনে আটজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৪ মে) দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঁচজনের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এছাড়া জেলায় আরও তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাতে জেলার বীরগঞ্জের চাউলিয়া গ্রামে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি বাহা বেসরা (৫৫) নিহত হন। একই রাতে হাকিমপুর উপজেলার বাওনা আলিহাট গ্রামের মনিরুল ইসলামের স্ত্রী বৃষ্টি (১৯) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ওই রাতে উপজেলার ঈশ্বরপুর গ্রামের মো. আজিজার রহমানের ছেলে মুনসুর আলী খোকা (৫০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। রাতে বিরল উপজেলার ফরক্কাবাদ মল্লাপাড়া গ্রামের মৃত তসলিম উদ্দিনের ছেলে তৌফিকুজ্জামান (৪৭) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। নবাবগঞ্জ উপজেলার মালভবানীপুর গ্রামের সোহরাফ হোসেনের মেয়ে সাথী আকতার (২০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
শনিবার দুপুরে বোচাগঞ্জ উপজেলার নাফানগন ইউনিয়নের ধনীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোমিনের ছয়মাস বয়সের শিশু সন্তান আরফান গলায় লিচুর বিচি আটকে মারা গেছে। এদিন সকালে নবাবগঞ্জে খয়ের গুনি গ্রামের পাশে করতোয়া নদীতে অজ্ঞাতপরিচয় (৪৫) ব্যক্তির মরদেহ ভেসে উঠে।
বিকেল সাড়ে ৫টায় জেলার বীরগঞ্জের মরিচা ইউনিয়নের নাগরগঞ্জ কলোনিপাড়া লিচু বাগান হতে লিচুপাড়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নারায়ণ চন্দ্র বর্মণ (২২) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. নিলয় দাস বলেন, বিদ্যুতায়িত হয়ে আহত দুজনের মধ্যে নারায়ণ চন্দ্র বর্মণ হাসপাতালে আসার আগে মারা গেছেন।