বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ১০:০৭ অপরাহ্ন
Headline
সাধু -জাহেদ শাহিনের রমরমা মাদকের থাবায় ধ্বংসের পথে দক্ষিণ সুরমার যুবসমাজ, প্রশাসন নিরব
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫, ১২:৩৯ অপরাহ্ন

 

স্টাফ রিপোর্টার, এস এম সানিয়া মাসুদ: 

সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় সাধু -জাহেদ -শাহিনের রমরমা মাদক ব্যবসা, পুলিশের নীরব ভূমিকায় ক্ষুব্ধ সচেতন মহল। তাদের দাবী একটি দেশ বা জাতি ধ্বংস করতে হলে প্রথমেই যুবসমাজকে ধ্বংস করতে হয়, আর সেই কাজটি করছে মাদক ব্যবসায়িরা। অথচ আমাদের পুলিশের গুটিকয়েক অসাধু সদস্য নিজেদের সামান্য লাভের আশায় অদৃশ্য কারণে যুবসমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা না করে বরং অন্ধকারে টেলে দিচ্ছেন। বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে সচেতন মহলকে।

 

মাদক ব্যবসায়ী জাহেদ , মেতরপট্টি গলির মূখের এবং বড়ইকান্দি রুটিয়ালা বাড়ীর শাহিনের টেকনিক্যাল রোড রমরমা মাদক ব্যবসার ভয়াল থাবায় ধ্বংসের পথে যুবসমাজ অতিষ্ট স্থানীয়রা।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাহেদ নগরীর দক্ষিণ সুরমার পুরাতন রেল স্টেশনে এবং কিং ব্রিজের নিচে মেতর পট্টি ও পুরাতন রেলওয়ে প্লাটফর্মে নির্বিঘ্নে জিআরপি থানা পুলিশের সামনে

প্রকাশ্যে দিবালোকে মাদক ব্যবসা ও সাধু তার নিজের কলোনিতে

করছে।

 

জিআরপি থানার সামনে এসব অপরাধ চল্লেও রেলওয়ে পুলিশের নীরব ভূমিকা রহস্যজনক।

 

মাঝে মধ্যে অভিযান দিয়ে জুয়াড়ীদের বিতারিত করলেও বন্ধ হচ্ছেনা শাহিন সাধু ও জায়ে মাদক ব্যবসা। কখনও পুরাতন রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্ম আবার কখন প্লাটফর্মের বাহিরে উত্তর পশ্চিম দিকের পাবলিক টয়লেটের বারান্দায় দেদারছে চলে জাহেদ মাদকের রমরমা বাণিজ্য।

এছাড়া জাহেদ কিং ব্রীজের নিচে মেতর পট্টি এলাকায় পুলিশ ম্যানেজ করে তাহার অবৈধ মাদক ব্যবসা চালায়।

 

জাহেদ মেতর পট্টি এলাকায় এবং কিং ব্রিজের নিচে প্রকাশ্যে দিবালোকে গাজা ও ইয়াবা ব্যবসা করলেও কদমতলী ফাঁড়ির ভূমিকা রহস্যজনক। মাদক ব্যবসায়িরা এই প্রতিবেদককে জানিয়েছে বাস টার্মিনাল পুলিশ ফাঁড়ির ম্যানেজ করেই চলে তাদের রমরমা মাদক বাণিজ্য।

 

 

আর শাহিন খেয়াঘাট, বাঁশপালা মার্কেট, টেনিকেল রোড, সুরমা মহল আস্তানায় সাধু তার নিজের কলোনিতে এবং মেতর পট্টিতে চালায় মাদক ব্যবসা। শাহিন সে মোবাইলে ইয়াবার অর্ডার নিয়ে গ্রাহকদের কাছে মাল পৌছে দিয়ে থাকে।

 

 

সাদু জাহেদ ও শাহিনের মূল ব্যবসাই হচ্ছে মাদক। তারা রেলওয়ে স্টেশন এলাকা ও মেতর পট্টিতে পুলিশের সামনেই গাজা ও ইয়াবা ব্যবসা চালায়। পাইকারী ও খুচরা দুইভাবে চলে সাধু , জাহেদ ও শাহিনের অবৈধ মাদক ব্যবসা। তাদের বিরুদ্ধে অনেক মাদকের মামলা রয়েছে বলে বিশ্বস্থ একটি সূত্র জানিয়েছে।

 

স্থানীয়রা তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেনা। সাহস করে কেউ যদি কথা বলে তাহলে সুইপার এবং ঝাড়ুদার কিশোর গ্যাং দারা নির্যাতনের শিকার হতে হয়। তাই কেউ প্রতিবাদ করতে চায়না।

 

স্থানীয়রা এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন প্রশাসন কঠোর না হলে সাধু , জাহেদ ও শাহিনের মাদক ব্যবসা বন্ধ করা যাবেনা। মাদক ব্যবসা বন্ধে ডিবির হস্তক্ষেপ চেয়েছেন দক্ষিণ সুরমার সচেতন মহল।

 

জাহেদের নেতৃত্বে এলাকা, কিং ব্রিজের নীচ, মেতর পট্টি এবং শাহিনের নেতৃত্বে বাঁশ পালা মার্কেট খেয়াঘাট ও মেতর পট্টিতে গড়ে উঠেছে বিশাল মাদকের সিন্ডিকেট। এই মাদকের ভয়াল থাবায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দক্ষিন সুরমার যুবসমাজ।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
আমাদের পেজ ফলো করুন