

,,,,,,স্টাফ রিপোর্টার,,,,
রাজশাহীর বাঘায় যাত্রীবাহী বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে স্কুল ছাত্রী মেয়ে ও বাবার পা কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
সোমবার (১৯ মে) সকাল পৌনে ৯টার দিকে বাঘা-ঈশ্বরদী মহাসড়কের বাঘা পৌরসভার বানিয়াপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়ের সঙ্গে সাথে থাকা মেয়ের মা ও গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁর একটি হাত ভেঙে গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় আজ সোমবার সকালে জাহেদুল ইসলাম (২৮) মোটরসাইকেলযোগে মেয়ে তুরাইফাকে (৫) রাজশাহীর বাঘা উপজেলার গ্রীন হ্যাভেন কিন্ডার গার্টেন স্কুলে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী জেসমিন (২৩)।
পথে বানিয়াপাড়া এলাকায় পৌঁছালে বাঘা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী সুপার সনি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে তাঁদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
দুর্ঘটনায় জাহেদুল ও তাঁর মেয়ের ডান পায়ের হাঁটু থেকে নিচের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাঁদের সঙ্গে থাকা জেসমিনের ডান হাত ভেঙে যায়।
স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে তাঁদের অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাসিবুল হাসান বলেন, তিনজনই গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে আসেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের রামেকে পাঠানো হয়েছে।
আহতদের এক আত্মীয় জানান, জেসমিন আক্তার সন্তানসম্ভবা। তাঁকে রামেকের অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এখানে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন।
তিনি আরও জানান, জাহেদুল ইসলাম (শান্ত) নাটোরের লালপুর উপজেলার বেরিলাবাড়ি (জামতলা) এলাকার বাসিন্দা।
তিনি বেরিলাবাড়ি বাজারে ইলেকট্রিক ও হার্ডওয়্যারের ব্যবসা করেন।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ ফ ম আছাদুজ্জামান বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন। বাস ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’