বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন শিগগিরই একাধিক বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার প্রস্তাব দেবে কমিশন : আলী রীয়াজ মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দল সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষনা সোনারগাঁয়ের পিরোজপুরে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে সাদরিল যানজটের নগরী আজ ফাঁকা, মূল সড়কে বেড়েছে রিকশার চলাচল বিজয়া দশমী : চলছে প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি তারেক রহমান দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন -সংগ্রাম করে যাচ্ছেন : সাদরিল যারাই ষড়যন্ত্র করবে জনগণ তাদের প্রতিহত করবে: সালাহউদ্দিন পাচার হওয়া অর্থের একটি অংশ ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে ফিরিয়ে আনা সম্ভব : অর্থ উপদেষ্টা নির্বাচনে নাশকতার চেষ্টা ঠেকাতে তৎপর র‍্যাব: মহাপরিচালক
Headline
এবার গুমের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
আপডেট : সোমবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২৫, ৮:৫১ অপরাহ্ন

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে গুমের ঘটনায় সাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তদেরকে গ্রেপ্তার করে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। তাদেরকে গ্রেপ্তারের আবেদন করে প্রসিকিউশন। এই ১১ জনের মধ্যে তিনজন হলেন- প্রান্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনার নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী ও পুলিশের প্রান্তন মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ।

এদিন শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুমের সংস্কৃতি চালু করে আওয়ামী লীগ। যারা গুম করতেন, তাদেরকে পুরস্কৃত করা হতো। র‌্যাব, ডিবি, সিটিটিসি, ডিজিএফআই সবচেয়ে বেশি গুমের সঙ্গে জড়িত ছিল বলেও জানান তিনি। পরে ট্রাইব্যুনালের আদেশ শেষে চিফ প্রসিকিউটর সাংবাদিকদের বলেন, গত ১৫ বছরে গুম ও ক্রসফায়ারের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি ভয়ের সংস্কৃতি চালু করা হয়েছিল। হাজার হাজার মানুষকে সাদা পোশাকে কিংবা পোশাকধারী বিভিন্ন বাহিনী এসে তুলে নিয়ে যেত। এরপর তারা আর কোনোদিন ফিরে আসতেন না, অধিকাংশই ফিরে আসেননি। তিনি বলেন, কেউ কেউ ফিরে আসলেও তাদের সুনির্দিষ্ট কিছু মামলায় আটক দেখানো হয়েছে। আর কেউ কেউ স্বৈরশাসনের অবসানের পর ‘আয়নাঘর’ থেকে ফিরে এসেছেন।

প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, গুমের সংস্কৃতির মাধ্যমে বছরের পর বছর ধরে মানুষকে নির্যাতন, হত্যাসহ তাদের সব ধরনের স্বাধীনতা বঞ্চিত করার যে অপরাধ, এটি আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত একটি অপরাধ। সেইসঙ্গে এটি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনেও মানবতাবিরোধী অপরাধ। তাই আজকে পৃথক একটি মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন জানিয়েছিলাম। এরমধ্যে তার (শেখ হাসিনা) নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ছাড়াও বিভিন্ন সংস্থার ১১ জন রয়েছেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন, যোগ করেন তিনি। চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি এ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট আসলে ওইদিন আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। আর যদি এরমধ্যে তদন্ত রিপোর্ট না জমা দেওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আসামিদের গ্রেপ্তারের অগ্রগতি প্রতিবেদন জামা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরো খবর
আমাদের পেজ ফলো করুন