

বন্দর প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ ভারত সহ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এমনি একটি অবগাহন মহাতীর্থক্ষেত্র হলো বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দের ব্রহ্মপুত্র স্নান। ঐতিহাসিক মহাতীর্থ স্থানের সংখ্যালঘুদের মন্দিরের জমি দখল করে স্থানীয় মাকসুদ চেয়ারম্যান ও মনির মেম্বার তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে জোর পুর্বক অফিস ঘর নির্মান করছে বলে অভিযোগ করেছে সংখ্যাঘুরা। যার কারনে আতংকে রয়েছেন স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তারা দ্রুত এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বার মিলে এ জমি দখল করে অফিস নির্মান কাজ অব্যাহত রেখেছে।
ঐতিহাসিক লাঙ্গলবন্দ স্নান উদযাপন কমিটির সভাপতি সরোৎ কুমার সাহা জানান, আমাদের তৃীথস্থানের রাজঘাট বাসন্তী মন্দিরের জায়গা দখল করে সন্ত্রাসীরা তাদের ক্লাব ঘর নির্মান করছে । আমরা এ বিষয়ে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তিনি বলেন, স্নানের সময় রাজঘাটে বাংলাদেশ-ভারতসহ বিভিন্ন দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এখানে স্নান সম্পন্ন করেন। স্নানের সময় রাজঘাটে কয়েকলাখ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মিলনমেলা ঘটে সেময় মানুষ হাটার জায়গা পর্যন্ত পায়না। আমাদের সেময় এমনিতেই জায়গার সংকট থাকে এখন যদি চেয়ারম্যান এভাবে আমাদের জায়গা করে অফিস নির্মান করে তাহলে আমরা বিপদে পরে যাবো। তিনি জানান, সরকার পতনের পর বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা এমনিতেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে তাই আমরা ভয়ে কোন প্রতিবাদ করতে পারছিনা।
এলাকাবাসী ও হিন্দুরা জানায় স্থানীয় মাকসুদ চেয়ারম্যান ও মেম্বার মনির এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে । তাদের হাতে অনেক হিন্দু পরিবার নির্যাতিত হয়েছে ভয়ে কেউ মুখ খুলছেনা। তারা সব সময় সাধারন মানুষের জমি দখল, চাদাঁবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে। এলাকার হিন্দু সম্প্রদায় তাদের অত্যাচার মুখ বুঝে সহ্য করে কারন মুখ খুললেই এলাকা ছাড়া ও বাড়ি ঘরে হামলা করে তাদের লালিত সন্ত্রাসীরা। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যাবস্থা নেয়ার দাবি জানান হিন্দু সম্প্রদায় লোকেরা।
এ বিষয়ে বন্দর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা এম.এ. মুহাইমিন আল জিহান জানান, আমি এ বিষয়ে এখনো কিছু জানিনা আমার কাছে কেউ এ বিষয়টি জানায়নি। এখন যেহেতু জানতে পেরেছি আমি জেনে ব্যাবস্থা নিবো। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মাকসুদকে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।