

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নাসিক ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি গোলাম মুহাম্মাদ সাদরিল বলেছেন, সোনারগাঁওয়ের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য আর সিদ্ধিরগঞ্জের শ্রমজীবী মানুষের সংগ্রামী চেতনা যদি একত্রিত হয়, তবে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন জাতীয় রাজনীতির এক শক্তিশালী ভিত্তিতে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার এই মহৎ লক্ষ্যে আমাদের আত্মত্যাগ, ধৈর্য ও ঐক্যের সাথে এগিয়ে যেতে হবে। দলের ভেতরে ভ্রাতৃত্ব, পারস্পরিক সম্মান এবং ঐক্যের ভিত্তি আরও দৃঢ় করতে হবে। আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে মানুষের অধিকার, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার বাংলাদেশ। ইনশাআল্লাহ, আমরা সবাই একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সে পথেই এগিয়ে যাব।
সাম্প্রতিক প্রশাসনিক পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন করে গঠিত হয়েছে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন। এতে সোনারগাঁও, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১ থেকে ১০ নম্বর ওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই নতুন কাঠামোকে ঘিরে এলাকায় রাজনৈতিক অঙ্গনে ভিন্নমাত্রা সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি নেতাদের মতে, এ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে সোনারগাঁও ও সিদ্ধিরগঞ্জবাসীর মধ্যে নতুন এক মেলবন্ধনের সূচনা হলো।
বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র সোনারগাঁও। মধ্যযুগ থেকে আজ পর্যন্ত এটি দেশের গৌরবের প্রতীক হয়ে আছে। মসলিন, লোকশিল্প এবং বাংলার প্রাচীন রাজধানী হিসেবে খ্যাত সোনারগাঁও শুধু অতীতের ইতিহাসেই নয়, ভবিষ্যতের সম্ভাবনাতেও সমৃদ্ধ অঞ্চল।
অন্যদিকে সিদ্ধিরগঞ্জ দীর্ঘদিন ধরে শিল্পনগরী হিসেবে পরিচিত। কারখানা, শ্রমজীবী মানুষ ও সংগঠিত সামাজিক-রাজনৈতিক ভূমিকার কারণে এ অঞ্চল সবসময়ই গুরুত্ব বহন করেছে। অর্থনৈতিক ও শিল্পায়নের সাথে সাথে এখানকার জনগণ রাজনৈতিক সচেতনতার দিক থেকেও অগ্রগামী ভূমিকা রেখেছে।
আগামী এয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি নেতারা মনে করছেন, এই দুই ঐতিহ্যবাহী অঞ্চলকে একত্রিত করে জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের ঐক্যবদ্ধ করা সময়ের দাবি। এজন্য ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ের প্রতিটি নেতাকর্মীর দায়িত্ব হবে মানুষের দোরগোড়ায় গিয়ে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারের বার্তা পৌঁছে দেওয়া। তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করা, নারীদের সম্পৃক্ত করা এবং সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে রাজনৈতিক শক্তিতে রূপান্তর করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তারা।