

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিদ্ধিরগঞ্জে আলোচিত সাত খুন হত্যার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি নুর হোসেনের ভাতিজা একাধিক হত্যা মামলার আসামি আওয়ামী দোসর বাদলের সহযোগী তাহেরের বিরুদ্ধে ফের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর জমি দখলের অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বৃস্পতিবার সকালে পুলিশের সহযোগিতায় ভূমিদস্যু আবু তাহের ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কৃষকদলের সাবেক আহ্বায়ক আবু তৈয়ব দলবল নিয়ে জোরপূর্বক ভাবে ঐ জমির চারদিকে উচু দেয়াল নির্মান করে দখল করে নেয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। ঘটনাটি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশকে অবহিত করেও কোন প্রকার সহযোগীতা না পেয়ে এক প্রকার নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগী মোঃ জালাল উদ্দিন পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সিদ্ধিরগঞ্জের উত্তর মাদানী নগর এলাকায় অভিযোগকারীসহ ১৮ জন অংশিদারের ক্রয়কৃত ৬ শতাংশ জমিতে গত ১০ জুলাই সকালে ঐ এলাকার চিহিৃত ভূমিদস্যু আবু তাহেরের পক্ষ নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কৃষকদলের সাবেক আহ্বায়ক সাইনবোর্ড স্থাপন করেন। এঘটনায় আমাদের অংশিদার মোঃ আমিনুল হক সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় উক্ত বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং অফিসার ইনচার্জ উক্ত অভিযোগটি এস.আই ওয়াসিম আকরামকে তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করেন। কিন্তু এসআই ওয়াসিম আকরাম তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ না করিয়া বিবাদীর কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা গ্রহণ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিনুর আলমের সহযোগীতায় ২২ জুলাই অভিযোগ দায়েরকারী আমার অংশীদার মোঃ আমিনুল হকসহ ৪ জন মালিক ও ২ জন লেবারের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করে দুই জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অভিযোগ রয়েছে, ভূমিদস্যু আবু তাহের এক সময়ে আওয়ামী দোসর সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাহজালাল বাদলের সহযোগী ছিলেন। বাদলের ক্ষমতার জোর খাটিয়ে এই ভূমিদস্যু বাহিনী একাধিক সাধারণ মানুষের জমি জোরপূর্বক দখল করে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি টাকা। আওয়ামীলীগ ক্ষমতাচ্যুত হলেও থেমে নেই তাহেরের ভূমিদস্যুতা। বর্তমানে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের ম্যানেজ করে ফের ভূমিদস্যুতা শুরু করেছে এই তাহের বাহিনী। তার বিরুদ্ধে জমি দখলের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি শাহনিুর আলম জানান, অভিযোগের বিষয়টা সম্পূর্ণ ভুয়া। এসপি স্যারও বিষয়টা সম্পর্কে অবগত আছেন। জমিতে পাঁচ দিন আগেও একবার দেয়াল ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে আবারও দেয়াল ভাঙতে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইজনকে আটক করে। ভাংচুরের ঘটনায় চাঁদাবাজি মামলায় কেনো চালান করা হলো এমন প্রশ্ন করলে ওসি বিষয়টি এড়িয়ে যান।