সিলেট প্রতিবেদক: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসায়ী, চোরাকারবারির লাইনম্যান, মামলা বাণিজ্য ও বালি পাথর লোটের ভাগীদার কে এই আব্দুল আলিম। তাহার অপকর্মে অতিষ্ঠ উপজেলার জনসাধারণ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার উত্তর কলাবাড়ি গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের একমাত্র ছেলে আব্দুল আলিম । তার কোন জায়গা জমি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নেই বলে জানান এলাকাবাসী। তবে তিনি কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের একাংশের সভাপতি। সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে আরো জানা যায়, একসময় আব্দুল আলিমের অবস্থা এমন ছিল যে তিনি রীতিমতো তিন বেলা খাবারও খেতে পারতেন না অন্যের বাড়িতে গিয়ে থাকতে হতো। কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের সাথে সখ্যতা করে লাইনম্যান পরিচয় দিয়ে সাংবাদিক পদবি ব্যবহার করে অবৈধ বালি, পাথর, চোরাকারবারি, মাদক ব্যবসায়ী ও থানার দালালি করে রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন।
প্রতিদিন রাতের আঁধারে সাদাপাথর ও বালু উত্তোলনের মাধ্যম লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে আসছে। মানুষের কাছে তিনি বহু রূপে পরিচিত। বিগত ফ্যাসিস্ট আ.লীগের ১৭ বছরে নিজেকে স্বাধীনতার পক্ষের লোক দাবী করে
ঠিকাদারি ও সরকারী দপ্তরের সুযোগ সুবিধাভোগ করছেন। এমনকি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার তৎকালীন নির্বাচন অফিসার জেবুন নেসা'কে ভয় দেখিয়ে সাংবাদিক দাবী করে কাজ করতে বাধ্য করাতেন। অন্যথায় সকল সাংবাদিককে দিয়ে পত্রিকায় তাহার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত করিয়ে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার হুমকি দিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করতেন।
তিনি আগে আওয়ামীলীগের পক্ষের লোক বলে মুখে মুখে শোনা গেলেও। কিছুদিন জামায়াতের নেতা বলেও উপজেলায় নানা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হতে দেখা যায়। সে স্রোতের বায়' চলে,, এখন দেশের অবস্থা দেখে সুবিধা নেওয়ার জন্য বলে সে নাকি বিএনপির লোক।
কোম্পানীগঞ্জ থানার দূর্ণীতিবাজ ওসি আওয়ামীপ্রেমী উজায়ের আল মাহমুদ আদনানের সাথে তার রয়েছে গভীর সখ্যতা। তিনি মামলা বানিজ্যে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ''শ্যাম রাখিনা কুল রাখি গলায়গলায় পিরিতি'' ওসি মিডিয়ার সামনে কথা বলতে কৌশল অবলম্বন করে ফিরিয়ে দিলেও আব্দুল আলীমদের সাথে সুসম্পর্ক রাখেন। এভাবে মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা ইনকাম করে যাচ্ছে।
তার অতীত ২০১০ সালে মানুষের কাছে মুরগী ভাগে দিয়ে হাঁসের ডিম মুরগীর তলে দিয়েও বাচ্চা ফুটাতো। আব্দুল আলিমের ইতিহাস এখানেই শেষ নয়। সে কলাবাড়ী গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী মতিবুর রহমানের বাড়ীতে পাঁচ বছর যাবত কাজের লোক হিসেবে থেকেছে। বিনিময়ে বাজার সওদা এনে দিতো। খাওয়া দাওয়া করে চলতো। যখন সে এই ঘরের বদনাম শুরু করে তখন, মতিবুর এর স্ত্রী তাকে জুতা পেটা করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। উপায়ান্তর, না পেয়ে আশ্রয় নেয়,কলাবাড়ী গ্রামের সাদ মিয়ার বাড়িতে। সেখানে দীর্ঘ ২ বছর থাকার পরে আবারও বদনাম ঝগড়াঝাটি শুরু করে দেয়, মানসম্মানের ভয়ে বাড়ির লোকজন অপমান করে তাকে তাড়িয়ে দেয়।
এর পর কলাবাড়ী গ্রামের পাথরখেকো নাক ছ্যাপা শাহাব উদ্দিনের বাড়িতে ও ৩ বছর থাকা খাওয়া শুরু করে কলাবাড়ী ফুটবল খেলার মাঠ দখল করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের ভাই সাবেক আ.লীগের এমপি পদপ্রার্থী চৌধুরী আল আমীনের যোগসাজশে খেলার মাঠ দখল করে আব্দুল আলীম কোটি টাকার মালিক বনে যান।
এভাবেই সকল প্রকার চাঁদা বানিজ্য সাদাপাথর পর্যটন এলাকার পাথর লুটপাট সিন্ডিকেটের সাথে নিয়মিতভাবে বখড়া পেয়ে রেলওয়ের সরকারী বাঙ্কার ধ্বংসের হোতাদের সাথে রাতের আঁধারে হাত মিলিয়ে দেশের সরকারী সম্পদ লুটপাটে সহযোগিতা করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে।
সে সামাজিক মাধ্যম স্যোসাল মিডিয়া ফেসবুক থেকে "ক্রাইম কোম্পানীগঞ্জ" আইডির পরিচালক হিসেবে হুমকি দিয়ে চাঁদাবানিজ্য করে থাকে বলে এক ভুক্তভোগী দাবি করেন। চাঁদাবাজিই তার অন্যতম পেশা,ধলাই নদীর পূর্ব পাড়ে ধলাই সেতুর নীচ থেকে আওয়ামীলীগের আমলে বারকী নৌকা দিয়ে ব্রীজের আশপাশে ও নীচ থেকে বালু পাথর উত্তোলনের টাকা আদায় করেছেন। দালাল আব্দুল আলীমের রোষানল থেকে বাদ যায়নি এলাকার শ্রমিক, ব্যবসায়ীসহ তার আত্মীয় স্বজনরা।
২০২৪ ইং সালের ৫ আগষ্টে সরকার পতনের ক'দিন পূর্বে রাতে ধলাই সেতুর মূখে কোম্পানীগঞ্জ থানার নামে টাকা আদায় করতে ফকির নামের এক এস, আই দিয়ে চিপ পাথরের ট্রাক্টর আটকিয়ে নগদ ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী জানান কলাবাড়ী স্কুল সংলগ্ন রাস্তায় লেনদেন হয়েছে। টাকার ভাগভাটোয়ারা করা হয় একটি চায়ের দোকানে। তিনি আরো বলেন এসময় সাদা কাগজে কশেকজন বালু চিপপাথর ব্যবসায়ীর, নাম লিখে পুলিশকে দেয় হয়রানি করতে এমন অভিযোগ উঠেছে তাহার বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য: সরকার পতনের পরপরই থানায় গেলে সেখানেও দালাল সাংবাদিকের পরিবর্তে সাংঘাতিক বলে উপস্থিত জনতার তিরস্কারের শিকার হন এই আব্দুল আলিম।
সে সিন্ডিকেট করে আওয়ামী কায়দায়, কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের একাংশের সভাপতি হয়ে আরোও বেপরোয়া গতিতে চাঁদা বানিজ্যে সক্রিয় হয়ে ওঠেছে, উপজেলাবাসীর দাবী সাংবাদিক পরিচয় দিলেও বালি পাথর লোটপাটে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। মহৎ পেশার সম্মান বাচাঁতে তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা জরুরী বলে মনে করেন কোম্পানিগঞ্জের সচেতন মহল।
উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক
চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম
channel26ltd@gmail.com
১০৭ মতিঝিল বা/এ ( খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০
০১৬২৫৫৫৫০১২
Copyright © 2025 Cannel26 LTD. All rights reserved.