হারুন অর রশিদ স্টাফ রিপোর্টার:
বগুড়া, ১৬ মে ২০২৫: প্রতিপক্ষকে হয়রানি করতে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ এনে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের মাঝপাড়া গ্রামের এক ভুক্তভোগী পরিবার।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মোকামতলা মডেল প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী আমজাদ হোসেনের ছেলে শফিকুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে এই অভিযোগ করেন। শফিকুল ইসলাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রংপুর জেলার পীরগঞ্জ স্টেশনে ড্রাইভার পদে কর্মরত।
তিনি জানান, ২০২৩ সালের ৩০ আগস্ট কর্মস্থলে থাকাকালীন তিনি জানতে পারেন তাদের গ্রামের মত মিয়ার কলার বাগানে একটি লাশ পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে শিবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয় (মামলা নং ৬৮, ধারা ৩০২/৩০১/৩৪ পেনাল কোড)।
শফিকুল ইসলাম বলেন, "মামলার ২০ দিন পর জানতে পারি পুলিশ আমার বাবাকে ধরে নিয়ে গেছে এবং আমাকেও আসামি করা হয়েছে।" তিনি আরও জানান, ঘটনার সময় তার অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য পীরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিস তদন্ত করে শিবগঞ্জ থানায় প্রতিবেদন পাঠালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেন।
ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, "তৎকালীন মামলায় যারা আমাকে ও আমার পরিবারকে অন্যায়ভাবে ফাঁসানোর মিথ্যা ষড়যন্ত্র করেছিল, তারা সফল না হওয়ায় আবারও গত ৩/৪ মাস পূর্বে শিবগঞ্জ থানায় আমার পরিবারের চারজন - বাবা, মা, বাক প্রতিবন্ধী ভাই ও তার স্ত্রীকে বিবাদী করে মিথ্যা অভিযোগ করে আমাদের প্রতিবেশী মতোর স্ত্রী তরুণ বেগম।" তিনি জানান, শিবগঞ্জ থানা পুলিশ তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেয়।
শফিকুল আরও বলেন, "অভিযোগকারী তরুণ বেগম, যার স্বামী মোতালেব মতো মিয়া, গ্রাম মাঝপাড়া, ইউনিয়ন মোকামতলা, শিবগঞ্জ, বগুড়া; আবারও আমাদেরকে ফাঁসাতে আমি সহ আমার পরিবারের ৫ জনের নামে গত ৩০-৪-২৫ তারিখে বগুড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ক অঞ্চল আদালতে ২৪৭ পি /শিবঃ আরেকটি মামলা দায়ের করেছে। যার ধারা ১০৭/১১৭।"
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম যথাযথ কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানান।
উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক
চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম
channel26ltd@gmail.com
১০৭ মতিঝিল বা/এ ( খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০
০১৬২৫৫৫৫০১২
Copyright © 2025 Cannel26 LTD. All rights reserved.