সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসি এনওসিএস উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। অবৈধ লাইন সংযোগ, ফাইল আটকে রাখা, অর্থের বিনিময়ে মিটার প্রদানসহ বহু অভিযোগ উঠেছে সুবিধাবাদী এ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে রয়েছে অফিস ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ।
অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মির্জা আজমের প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যুৎ অফিসে আধিপত্য বিস্তার করে কায়েম করেছিলেন রামরাজত্ব। ৫ অগস্ট দেশের পটরিবর্তনের পর কেন্দ্রীয় এক বিএনপি নেতার ছায়া নিয়ে অব্যাহত রেখেছেন তার ঘুষ বাণিজ্য। উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সানোয়ার হোসেন, লাইনম্যান মো. মহসীন, শাহাদাত হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, মিটার পাঠক মোবারক হোসেন, সুপারভাজার আকবরসহ একটি ঘুষবাণিজ্য সিণ্ডিকেট গড়ে তুলেন।
অভিযোগ জানা গেছে, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন সিণ্ডিকেট ১২ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে মৌচাক ফিডারের আওতায় উম্মে সুমাইয়া নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ১০২ কিলোওয়াট লোডের পরিবর্তে ৪৫ কিলোওয়াট মিটার ও ১৩৫ কিলোওয়াট লোডের স্থলে ৪৫ কিলোওয়াট লোডের সংযোগ দিয়েছেন। এতে অতিতাপে চলা ট্রান্সফর্মার জ্বলে যাচ্ছে। ফলে ডিপিডিসির মোটা অংকের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। যার গ্রাহক নং-৩৮১৯৮৯৩১ ও ৩৮১৮১৩১৬। প্রতিটি মিটারের ১ টিতে উচ্চ চাপ গ্রাহকে রূপান্তর করার কথা বলে নিজস্ব উপকেন্দ্র স্থাপন না করে ৭ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে আবাসিক সরবরাহকৃত ট্রান্সফর্মা থেকে লাইন সংযোগ দিয়েছেন। এ অপকর্মের জন্য ওই প্রতিষ্ঠান মালিকের কাছ থেকে প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা করে সুবিধা নিচ্ছেন বেলায়েত সিণ্ডিকেট।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠান মালিক জাকির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি লাইন সংযোগ নিয়েছি অফিসিয়ালভাবে।
এছাড়া মিজমিজি দক্ষিণ পাড়া এলাকার হাবিব মিয়া বলেন, আমার স্থাপনায় একটি ৭তলা বাড়িতে পূর্বের দুটি মিটার ছিল। বর্তমানে আরও ১১টি মিটারের আবেদন করি। তারা আমার বাড়ি পরিদর্শন করে জানায় এইচটি সংযোগ নিতে হবে। আমি তার কাছে গেলে সে ৬ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রাহক জানায়, প্রকৌশলী বেলায়েত সিণ্ডিকেটের লোকজনকে মাসোহারা দিতে বিলম্ব হলেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। পরে মোটা অংকের ঘুষ দিলে আবার তারা এসে সংযোগ দিয়ে দেয়।
জানতে চাইলে ডিপিডিসি এনওসিএস উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন এসব অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেন। সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত অধিকারী বলেন, এমন কোন অভিযোগ আমার জানা নেই। যদি এমন কেউ করে থাকে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক
চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম
channel26ltd@gmail.com
১০৭ মতিঝিল বা/এ ( খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০
০১৬২৫৫৫৫০১২
Copyright © 2025 Cannel26 LTD. All rights reserved.