

স্টাফ রিপোর্টার মোঃ আছাদুল হক:
করলো যুবক। খুলনার কয়রায় স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘটনায় ১৫ লিটার দুধ দিয়ে গোসল করেছেন আবু তালেব ইসলাম (৩০) নামের এক যুবক। তার দাবি, স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ায় আনন্দে দুধ দিয়ে গোসল করেন। আবু তালেব ইসলাম উপজেলার কয়রা সদর ইউনিয়নের (৩) নং কয়রা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই গ্রামের মাহবুর সরদারের ছেলে। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে নিজ বাড়িতে দুধ দিয়ে গোসলের এই ঘটনা ঘটে। তিনি শুধু দুধ দিয়ে গোসল নয় মিষ্টি ও বিতরণ করেছেন। যার একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকাজুড়েই ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, (২০২৪) সালের (৩) মে কয়রা ইউনিয়নের ৪ নং কয়রা গ্রামের আবুল বাশার সানার মেয়ে তামান্না খাতুনকে পারিবারিকভাবে বিবাহ করেন তিনি। বিয়ের পর থেকে তাদের কলহ ছিল। এই কলহের জেরে সম্প্রতি তাদের বিচ্ছেদ ঘটে পারিবারিক আপসের মাধ্যমে। প্রতিবেশী জুলফিকার আল মাহমুদ বলেন, এমন ঘটনা আগে কখনো দেখিনি। খবর পেয়ে দেখতে এসেছিলাম। তাদের কলহ লেগেছিল জানি। এ অবস্থায় বিভিন্ন সময় বাবার বাড়ি চলে যান তার স্ত্রী। অনেক বুঝিয়েও স্ত্রীকে ফেরাতে পারেননি তিনি। আবু তালেব তার সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য অনেকে চষ্টা করেছে বলে জানি।
আবু তালেব ইসলাম বলেন, ‘আমার কপালে আল্লাহ যা লিখেছেন তাই হবে। আমি বিশাল এক পারিবারিক কলহ থেকে মুক্তি পেয়েছি। এটাই আমার জন্য আনন্দের ব্যাপার। এমন যেন কারো কপালে না হয়। তিনি আর শ্বশুরবাড়ি আয়নাঘর হিসাবে উল্লেখ করে ওই এলাকায় কাউকে বিয়ে না করার জন্য ও অনুরোধ করেন।
তিনি বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে আমার স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমাকে অনেক নির্যাতন করেছে। আমি এক পর্যায়ে অসহায় হয়ে পড়েছিলাম। আমি তাকে (স্ত্রী) অনেকবার বুঝিয়ে সংসারে ফিরিয়ে এনেছি। সে স্বাধীন থাকতে যায়। তার বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে অবাধে যোগাযোগ রাখতে চায়। আমার স্ত্রী তামান্নার শর্ত আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারিনি। আমি অনেক নির্যাতন সহ্য করেও সংসার টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সে কোনোভাবেই সংসার করতে রাজি না। তাই যা হয়েছে ভালো হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য শেখ সোহরাব হোসেন বলেন, তাদের বিয়ের পর থেকে কলহ গেলেই ছিল। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে অনেকবার মীমাংসার চেষ্টা করেছি কিন্তু মেয়ে কোনোভাবেই সংসার করতে রাজি নন। এ জন্য দুই পরিবারের সম্মতিতে আপস তালাকের মাধ্যমে।