সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখল, চাঁদাবাজি এবং আওয়ামী নেতাদের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের যোগসাজশের কারণে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ক্ষোভ দেখা দিয়েছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন জেলায় এখনো চাঁদাবাজি, লুটের মতো ঘটনা ঘটছে। তবে আগের চেয়ে অনেক কম। চাঁদা দিতে রাজি না হলে হত্যা মামলার আসামি করারও ঘটনা ঘটছে। এমনকি জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরে আবেদন করা হলেও অদৃশ্য কারণে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে কয়েকজন স্থানীয় পর্যায়ের নেতা অভিযোগ করেছেন।
এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ৩নং ওয়ার্ডের বাগমারার বিএনপির নেতা আকবর হোসেন ও তার ছেলে শাহাদাৎ হোসেন রনির শেল্টারে শামীম ওসমানের ও সাবেক কাউন্সিলর শাহজালাল বাদলের সন্ত্রাসী বাহিনী চাদাঁবাজ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের লিটন,মামুন,সুমন,শাহীন,সবুজ,ইয়াসিন, শাওন , হাসান ও আদুল্লাহ শরীফ বাহিনী রীতিমতো এলাকায় ফের চাদাঁবাজি, মাদকব্যাবসা ও দখল বানিজ্য করে যাচ্ছে।
জানায়ায় নাসিক ৩নং ওয়ার্ডের তথাকতিথ বিএনপি নেতাদের শেল্টারে ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি লিটন, কিশোর গ্যাং লিডার সবুজ ও ছাত্রলীগের হাসান বাহিনীর রোনাষলে স্থানীয় বৃহৎ রপ্তানিমুখী পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান আল-আমীন গার্মেন্টসহ সানারপারের সিকোটেক্স, লিথি গার্মেন্টস। প্রতিষ্ঠানের মালিকরা বলেন, আমরা ব্যবসায়ী। আমাদের পরিবার কখনো কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। স্থানীয় বিএনপি নেতাদের ছত্রছায়ায় সাবেক কাউন্সিলর বাদলের সন্ত্রাসী বাহিনী প্রতিটি গার্মেন্টস থেকে চাঁদা চেয়েছেন। তারা আওয়ামীলীগের সময়ে আমাদের কাছ থেকে চাদাঁবাজি করেছে বর্তমানে তারা বিএনপি নেতাদের ছত্রছায়ায় ফের চাদাঁবাজি শুরু করেছে। তাদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ৩নং ওয়ার্ডে জমি দখল, মাদক ব্যবসা , চাদাঁবাজি, ইভটিজিংসহ এমন কোন অপকর্ম নেই যে তারা করে না। তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় সাধারন মানুষ ভয়ে মুখ খুলতে পারছেনা।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, লিটন,মামুন,সুমন,শাহীন,সবুজ, আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ শরীফ,ইয়াসিন, শাওন ও হাসান বাহিনী গত আওয়ামীলীগ সরকারের সময় ১৭ বছর যাবৎ তারা শামীম ওসমান তার ছেলে অয়ন ওসমান ও সিদ্ধিরগঞ্জের ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আলোচিত সাতখুন মামলার আসামী শাহজালাল বাদলের সকল অপকর্মের সাথী ছিল। তাদের ছত্র ছায়ায় অত্র এলাকায় সকল অপকর্ম করেছে তারা।
এদিকে সিদ্ধিরগঞ্জের ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আলোচিত সাতখুন মামলার আসামী শাহজালাল বাদল আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এলাকার বাহিরে অবস্থান নিলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনি নিজ বাড়িতে আসেন। তখন বাদলের কথা অনুয়াযী লিটন,মামুন,সুমন,শাহীন,সবুজ,আবদুল্লাহ শরীফ,ইয়াসিন, শাওন ও হাসান বাহিনী স্থানীয় বিএনপি নেতা আকবরের সাথে যোগাযোগ করে বিএনপি’র ছায়াতলে যোগ দিয়ে পুর্বের সকল অপকর্ম দৃঢ়তার সাথে করে যাচ্ছে।
স্থানীয় ৩নং ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের সাথে কথা বললে তারা জানায়, এলাকায় লুটপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখল, চাঁদাবাজি, ভাঙচুর চালানোসহ ব্যবসায়ীদের প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে । তাদের কাছে সাধারণ মানুষ একরকম জিম্মি হয়ে পড়েছে। সন্ত্রাসী লিটন,মামুন,সুমন,শাহীন,সবুজ,আবদুল্লাহ শরীফ,ইয়াসিন, শাওন ও হাসান বাহিনীর কাছে পুর্বেও জিম্মি ছিল সাধারন মানুষ বর্তমানেও জিম্মি রয়েছে। তাদের হাত থেকে এলাকার সাধারন মানুষ মুক্তি চায় । তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য দাবি করেছে এলাকার সাধারন মানুষ।
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক জানান, যারাই ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও জমি দখল, চাঁদাবাজি ও লুটপাটের সাথে জড়িত তাদের কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। রাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, অপরাধি যত বড়ই ক্ষমতাসীন দলের হোক না কেন আমরা তাদের কোন ভাবেই ছাড় দিব না। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এসব বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির প্রভাবশালী এক নেতা বলেন, অপকর্মের সঙ্গে জড়িত, দলের ভাবমূর্তি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে এখন শুধু সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নয়, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নেতাকর্মীদের ১৫ বছরের আত্মত্যাগ এবং কমিটমেন্ট কিছু ব্যক্তির অপকর্মের জন্য প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে না। তাদের দায় দল নেবে না। অপরাধী যে দলের হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে । বিএনপিতে অপরাধীদের কোন স্থান নেই।
উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক
চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম
channel26ltd@gmail.com
১০৭ মতিঝিল বা/এ ( খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০
০১৬২৫৫৫৫০১২
Copyright © 2025 Cannel26 LTD. All rights reserved.