শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন
Headline
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির চেষ্টা করলে ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আপডেট : শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫:৫৪ অপরাহ্ন

 

রাঙামাটি প্রতিনিধি :

‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনোভাবেই অবনতি হতে দেওয়া যাবে না। যারা পরিস্থিতির অবনতি করার চেষ্টা করবে তাদের কোনও অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না।’ রাঙামাটিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাঙামাটি সেনানিবাসের প্রান্তিক হলে জেলার উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন ব্যক্তিদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এই প্রতিনিধি দলের সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা শেষে গণমাধ্যমকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে। কোনও অবস্থায় পরিস্থিতির অবনতি করা যাবে না। যারা অবনতির চেষ্টা করবে তাদের হাত ভেঙে দেওয়া হবে।’

সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, ‘আমরা সবাই সম্প্রীতি চাই। কোথাও যেন ছন্দপতন ঘটছে। ছন্দপতনে সবাই একটি শব্দ উচ্চারণ করেছেন, সেটি হলো “ষড়যন্ত্র”। পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এর পেছনের ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করা হবে। তদন্ত কমিটি করা হবে। তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করা হবে। যারা পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করবে, তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে বলে জানান তিনি।

সভায় পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, সেনাবাহিনীর চট্টগ্রামের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাইনুর রহমান, বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, পুলিশ প্রধান মইনুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় বিভিন্ন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দীপু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ, সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির জেলা কমিটির সভাপতি ডাক্তার গঙ্গামানিক চাকমা, জাতীয় পার্টি জেলা কমিটির সভাপতি হারুন মতব্বর, জামায়াত আমির মো. আলিম, পার্বত্য নাগরিক পরিষদ চেয়ারম্যান কাজি মজিবুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন, পরিবহন মালিক শ্রমিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা সভায় নিজ নিজ বক্তব্য ও পরামর্শ তুলে ধরেন।

রাঙামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোটেক মামুনুর রশিদ বলেন, ‘এই সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য পাহাড়ে এমন সংঘাত সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমাদের মনে হয় এতে বাইরে থেকে কেউ ইন্ধন দিচ্ছে।’ সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান তিনি।

সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতির জেলা কমিটির সভাপতি ডাক্তার গঙ্গামানিক চাকমা বলেন, ‘গতকালের বিক্ষোভ মিছিলে আমাদের দলীয় কোনও লোকজন জড়িত না। এতে আমাদের কেউ অংশ নেয়নি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে এটি হয়েছে। তবে যারাই করুক তারা পাহাড়ের শান্তি চায় না।’

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
আমাদের পেজ ফলো করুন